পলিসিমেকারদের কার্যক্রম এফডিআই-বিরোধী: অর্থনীতিবিদরা
দেশে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) নিয়ে বহু কথা হলেও তাতে প্রত্যাশিত অগ্রগতি না থাকার পেছনে পলিসিমেকার তথা ব্যুরোক্র্যাটদের দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাকের সিনিয়র ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট এ কে এম আবদুল্লাহ বলেন, "পলিসিমেকারদের কাজেকর্মে মনে হচ্ছে, তারা এফডিআইর বিপক্ষে (এন্টি এফডিআই)।"
তার এমন বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, "বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৩টি সংস্থার পারমিশন লাগে। সত্যায়িত করতে টাকা লাগে। সচিব থাকা অবস্থায় (ব্যুরোক্রেটদের উদ্দেশ্য করে) ট্রেড ফেসিলিটেশন ভুলে যায় তারা।"
তিনি এফডিআই নিয়ে কয়েক বছর আগে নিজের একটি একটি অ্যানালাইসিসের সূত্র উল্লেখ করে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০০টি বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে ১০০টিই রিয়েলাইজেশন হয়। অথচ বাংলাদেশে ১০০টির মধ্যে মাত্র তিনটি আসে।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারাও দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরেন। তাছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড ও কোভিড পরবর্তী সময়ের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও সাফল্য তুলে ধরেন।
ঢাকার প্রাক্তন শিক্ষক ডক্টর আবদুল্লাহ শিবলীর লেখা ইকোনমিক ক্রসকারেন্টস, "আ ফেইরি টেল: অটোবায়োগ্রাফিকাল স্টোরিজ, স্টোরিজ ইন মেমোরি অফ সৈয়দ মুজতবা আলী এবং ইকোনমিক এসেস – এ চারটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্বব্যাংক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও কর্মরত ছিলেন তিনি।
এতে সভাপতিত্ব করেন পিআইআই'র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. আহসান এইচ মনসুর।