রাজধানীতে জামায়াত ও গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ
সরকার পতনের উদ্দেশ্যে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি ( রব ), গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন-এ ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় এ জমায়েত শুরু হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে দৈনিক বাংলা মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাব আসবে।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, "ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের পতনের ঘণ্টা বেজে উঠেছে। গত দুই দিনে বাংলাদেশে দুটি ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করেছে, একই সাথে আওয়ামী লীগ জামানত হারানোর যুগে প্রবেশ করেছে।"
"তারা দেশ ধ্বংস করতে চায়, তারা নাগরিকের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। বাংলাদেশের নাগরিকরা এটা হতে দেবে না। এ জন্যেই আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ আওয়াজ তুলেছি," বলেন তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ "গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে"।
"তারা ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হরণ করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না, মেনে নেয়া হবে না।"
সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ হতে ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু তাদের পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, "বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১১ জানুয়ারি সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।"
অন্যদিকে, যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, জামায়াত ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়ন ও জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিরোধীদলীয় সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে গণমিছিল বের করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা উত্তর শাখা।
শুক্রবার সকালে সাভার পৌরসভার রেডিও কলোনি থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে মূল সড়কের দিকে এগোতে চাইলে তাদেরকে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সাভার নিউ মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় তাদের কার্যক্রম।
এ গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের ঢাকা জেলা উত্তর শাখার সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন।
গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা জেলা উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেন, "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।"
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ জামায়াত ঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান এই জামায়াত নেতা।
জামায়াতের গণমিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি হাসান মাহবুব মাস্টার, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুর রউফ, সাভার পৌরসভা আমীর আজিজুর রহমান, আশুলিয়া থানা আমীর বশির আহম্মদ, ধামরাই পৌরসভা আমীর জহিরুল ইসলাম, সাভার পৌরসভা জামায়াতে সেক্রেটারি আবদুল কাদের, শিবিরের জেলা সভাপতি রুহুল আমীন, জেলা সেক্রেটারি সানোয়ার হোসাইন প্রমুখ।