বাংলাদেশের এতিম শিশুদের জন্য ১৫টি স্কুল নির্মাণ করছে কাতার চ্যারিটি
এতিম শিশুদের জন্য বাংলাদেশে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা কাতার চ্যারিটি (কিউসি), যেখানে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একাডেমিক ও আবাসিক সুবিধা থাকবে।
গালফ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, প্রকল্পটির পৃষ্ঠপোষকতায় থাকবেন দেশটির হিতৈষী ব্যক্তিরা।
প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্কুলগুলোর প্রতিটিতে শ্রেণীকক্ষ, ছাত্রাবাস, শিক্ষকদের জন্য কক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ডাইনিং ও অ্যাক্টিভিটি হল থাকবে।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের চর বংশী দাখিল মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মোঃ মফিজ খান বলেন, "আমাদের স্কুল ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। বৃষ্টি হলে পুরাতন ভবনে পানি ঢুকে যেত, এতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি হতো।"
মাদ্রাসাটির জন্য কাতার চ্যারিটির নির্মাণাধীন ভবন নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নতুন ভবনটি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
"আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই দিন আনে দিন খায়। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার ভালো সুযোগ পায় না। এই ভবনটি নির্মিত হলে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ভালো পরিবেশে পড়াশোনার সুযোগ পাবে," বলেন পাবনার ভবানীপুরের একটি স্কুল কমিটির সভাপতি বাবুল বিশ্বাস।
পাবনার সরকারি কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রায়না বলেন, স্কুল ও এতিমখানা নির্মাণসহ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতেও কাতারের হিতৈষীরা এমন সহায়তা অব্যাহত রাখবেন, সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তাহমিনা।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরে কাতার চ্যারিটি শিক্ষাগত এবং আবাসিক পরিষেবার বিকাশে ৩৮টি একাডেমিক ফ্যাসিলিটি তৈরি করেছে যার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়াও বাংলাদেশের ৩,৩১২ জন এতিম শিশুর পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্ব পালন করছে দাতব্য সংস্থাটি।