৮ মাসে ভারতের ভিসা নিয়েছেন ১০ লাখ বাংলাদেশি
কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর, গেল বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশিদের জন্য আবারও চালু হয়েছে ভারতের টুরিস্ট ভিসা। নিয়ম-নীতি শিথিল হতে থাকলে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে টুরিস্ট ভিসার অনুমতি দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণের সংখ্যা আবারও মহামারি শুরু হওয়ার আগের পর্যায়ে ফিরে গেছে।
পুনরায় ভিসা চালু হওয়ার পর গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি ভারতের ভিসা নিয়েছেন; এরমধ্যে ২ লাখ ৭৩ হাজার রয়েছে মেডিকেল ভিসা। ভারতীয় হাইকমিশন টিবিএসকে এ তথ্য জানিয়েছে।
হাইকমিশন সুত্রে জানা যায়, কোভিড মহামারির আগে ২০১৯ সালে ১৬ লাখের বেশি বাংলাদেশি ভারতের ভিসা নেন। ২০২১ সালে লকডাউন সত্ত্বেও বাংলাদেশিদের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ভিসা ইস্যু করে ভারত, যার মধ্যে ১ লাখ ৯৬ হাজার ছিল মেডিকেল ভিসা।
ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ডেপুটি অপারেটিং অফিসার কিংশুক মিত্র টিবিএসকে জানান, ঢাকার ভিসা সেন্টারটি বিশ্বের সব চেয়ে বড় ভিসা সেন্টার। ২০২২ সালের শেষ দিকে এখানে ভিসার চাহিদা ছিল অনেক বেশি।
বাংলাদেশে ভারতের ১৫টি ভিসা সেন্টার রয়েছে; এরমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিসা সেন্টার ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো মিলে বিশ্বের বৃহত্তম ভিসা অপারেশন নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে ভারতের ভিসা ইস্যু করা হয়। যদিও ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সুবিধার্থে ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভিএসি) প্রতি আবেদনের জন্য প্রসেসিং ফি বাবদ ৮০০ টাকা করে নেয় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশিরা সাধারণত সবচেয়ে বেশি পায়ে (স্থলবন্দর) ও বাসে, অভ্যন্তরীণ নৌপথে, সমুদ্রপথে, রেলপথে এবং আকাশপথে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যান।