ভারতীয় ভিসা সীমিত করায় ১ বছরে বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্টধারী যাত্রী কমেছে ২ লাখের বেশি
ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশিদের ভিসা সীমিত করে দেওয়ার প্রভাব সরাসরি পড়েছে বেনাপোল বন্দরের পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতে। ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর (২০২৪ সালে) বেনাপোল বন্দরে যাত্রী সংখ্যা কমেছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৩ জন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূঁইয়া জানান, ২০২৪ সালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৩ জন পাসপোর্টধারী। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ১১০ জন, ভারতীয় চার লাখ ৬৫ হাজার ৪১৩ জন এবং অন্যান্য দেশের যাত্রী ছিলেন দুই হাজার ৪৯০ জন।
২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩১ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ২১৫ জন।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল রুট ব্যবহার করেন চিকিৎসা, ব্যবসা এবং অন্যান্য কাজে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করা বহু পাসপোর্টধারী।
'স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে আট থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন এ রুট দিয়ে। কিন্তু ভিসা বন্ধ থাকায় এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে,' বলেন তিনি।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাংলাদেশে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতীয় দূতাবাস ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আগের তুলনায় স্বাভাবিক হলেও ভারত এখনো ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করেনি।
ভারতগামী বাংলাদেশি যাত্রী মঞ্জুর হায়দার বলেন, 'দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। ভারত সরকার ভিসা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করলে দুই দেশই উপকৃত হবে।'
অন্যদিকে, ভারতীয় পাসপোর্টধারী রবিন সরকার বলেন, 'ভিসা বন্ধে দুই দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশিদের আসা বন্ধ হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং পর্যটন খাতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।'
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহসান সজীব জানান, যাত্রীসংখ্যা কমায় ভ্রমণ খাত অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
তবে দ্রুতই এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।