কেইপিজেডের অগ্রগতি হচ্ছে: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন বলেছেন, চট্টগ্রামে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ধারাবাহিক অগ্রগতি ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, কেইপিজেড আরও কারখানা নির্মাণ, আইসিটি জোন স্থাপন, নকশা ও উন্নয়ন কেন্দ্র খোলা, দেশের বৃহত্তম রুফটপ সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্বোধন এবং বিদেশি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এলাকার উন্নয়ন করছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রয়েস্টারের সঙ্গে কেইপিজেড পরিদর্শন করেন এবং জার্মান কোম্পানি স্ট্রাসের নতুন খোলা ইউনিটসহ কম্পাউন্ডের কারখানা এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন।
জার্মানির বিখ্যাত আউটডোর ও স্পোর্টসওয়্যার কোম্পানি স্ট্রস আনুষ্ঠানিকভাবে গত বছরের ২৪ অক্টোবর কেইপিজেড-এ তাদের ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্ট্রস সিআই ফ্যাক্টরি, চট্টগ্রাম খুলেছে।
বর্তমানে চট্টগ্রামে পণ্য উন্নয়ন থেকে বিক্রয় ও বিপণনে প্রায় ২০০ জন নিয়োজিত আছেন।
রবিবার ঢাকায় দ. কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, কেইপিজেড সফলভাবে ২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার দেশের বৃহত্তম একক ছাদে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং পরিচালনা করছে।
রবিবার ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, তবে শুধুমাত্র এটি জোনের (কেইপিজেড) বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয় বরং এটি বাংলাদেশের জাতীয় বিদ্যুত গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে ২০২১ সালের ২০ জুন কেইপিজেডের ছাদে সোলার প্যানেল প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত লি।
রাষ্ট্রদূত লি আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কেইপিজেডের আইসিটি জোন ভালোভাবে চলছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে একটি গ্রাউন্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আইসিটি জোন নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং এর দুটি কারখানা ভবন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
কেইপিজেড অনুসারে, বর্তমানে ৪৩টি অপারেটিং কারখানায় ৩০ হাজার কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া আরও আটটি কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে।
কেইপিজেড হল কোরিয়ান ইয়ংওন করপোরেশন দ্বারা পরিচালিত দেশের একমাত্র ব্যক্তি মালিকানাধীন ইপিজেড। এটি বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টরে প্রথম এবং বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী।