গুলশানে গোলাগুলির ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরে রোববার (১৫ জানুয়ারি) গোলাগুলির ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সভাপতিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত দুইজন আহত হন।
রোববার গুলিতে আহত আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে গুলশান থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মিন্টু (৪৬), তার সহযোগী মো. আরিফ হোসেন (২৪), আরিফের শ্যালক মনির আহমেদ (৩৫), শরিফুল (৫৫) এবং হুমায়ুনের (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান মনির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, "পাঁচ আসামির মধ্যে ওয়াহিদুজ্জামান মিন্টু, আরিফ হোসেন ও মনির আহমেদকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
গতকাল বিকেলে রাজধানীর গুলশান-১ এ দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে নির্বিচারে গুলোগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এক রিকশাচালকসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা উত্তর শাখার সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ ওরফে মিন্টু তার সহযোগী আরিফকে উদ্ধারের চেষ্টায় গুলি চালায়। বিকাশের দোকানদার হালিমকে তিনটি নম্বরে মোট ৭৫ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন আরিফ। তার কথামতো নির্দিষ্ট নম্বগুলোতে হালিম টাকা পাঠিয়ে দেন। কিন্তু টাকা পাঠানোর পরে, আরিফের কাছে সেই টাকা চাওয়া হলে, তা দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এর জের ধরে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
পরে ওয়াহিদসহ আরও কয়েকজন সেখানে পৌঁছালে আরিফকে বাঁচাতে দুই রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন ওয়াহিদ। এতে রিকশাচালক আবদুর রহিম ও আমিনুল ইসলাম নামে এক পথচারী আহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষুব্ধ জনতা ওয়াহিদ ও তার সহযোগীদের তাড়া করলে তারা পাশের গ্লোরিয়া জিন্স কফিশপ প্রাঙ্গণে ছুটে যান।
পায়ে গুলিবিদ্ধ রহিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুলি চালানোর পরে, ওয়াহিদ এবং তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওয়াহিদের কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্রগুলোর একটির বৈধ লাইসেন্স রয়েছে, যার মেয়াদ ২০২৪ সালের পরে শেষ হবে।
ডিসিসি মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহিন আলম জানান, বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ওয়াহিদ তার পরিচিত একজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য গুলি চালায়। ওই ব্যক্তি গুলশান-১ এর গ্লোরিয়া জিন্স কফিস আউটলেটের পাশে বিকাশের দোকান থেকে কয়েকটি নম্বরে ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে, পরে সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
তিনি বলেন, এ সময় চার থেকে পাঁচটি গুলির শব্দ শুনেছেন তিনি।
এ ঘটনায় গ্লোরিয়া জিন্স কফিস-এর মালিক নাভানা গ্রুপের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ডিসিসি মার্কেটে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তারা আমাদের কফি শপে ছুটে আসে। আহত ব্যক্তিরা এবং পুরো দল আমাদের পার্কিং এলাকায় আসে, পরে আমরা পুলিশকে খবর দিই।"