তহবিল সংকট, ব্যয় বৃদ্ধিতে বন্ধ সহস্রাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ
মহামারি-উদ্ভূত বৈশ্বিক ও স্থানীয় অর্থনৈতিক সংকট এবং ইউরোপে চলমান যুদ্ধের ফলে উন্নয়ন খাতে কৃচ্ছ্রতা সাধনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল সরকারকে। এখন কয়েক লাখ কোটি টাকার হাজারের অধিক এরকম প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
১৯৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল তিন বছরে। ২০২১ সালে ৪০ শতাংশ ব্যয়বৃদ্ধি ও মেয়াদ তিন বছর বাড়ানোর পর প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি এখন প্রায় ৬০ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি বর্ধিত সময়সীমা ২০২৪-এর ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদার হিসেবে চারটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এরমধ্যে একটি বড় অংশের কাজ করছে আব্দুল মোনেম লিমিটেড।
আব্দুল মোনেম লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'কোভিড মহামারির কারণে কাজে ধীরগতি আসে। এরপর রড, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ উপকরণের বাজারদর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেলেও প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হয়নি।
'এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সময়মতো বিল পরিশোধ না করায় কাজে সেভাবে গতি আসছে না।'
সরকারি অর্থ ছাড় বন্ধ, নির্মাণ সামগ্রীর চড়া বাজারদর, শিডিউল অভ রেট সংশোধন না করা, ঠিকাদারদের বকেয়া বিল পরিশোধ না করা এবং ডলার সংকটে নির্মাণ সামগ্রী আমদানি করতে এলসি খোলায় সমস্যা হওয়ায় চলমান প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার ১,০১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের বেশিরভাগের কাজেই স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
প্রকল্পগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব চলমান প্রকল্পের মধ্যে প্রায় ৬০ শাতংশ প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় বন্ধ।
সরকারের সাত সংস্থার অধীনে বাস্তবায়ন হচ্ছে এসব প্রকল্প। এর মধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় ২১ হাজারে কোটি টাকার ২৪৫টি প্রকল্পের ৫৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, যা সাত সংস্থার মধ্যে সর্বোচ্চ। আর সবচেয়ে কম অগ্রগতি হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৯১টি প্রকল্পে। পাউবোর এ প্রকল্পগুলোর সার্বিক অগ্রগতি ২৩ শতাংশ।
অন্য পাঁচটি সংস্থা হলো—স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), গণপূর্ত বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এই স্থবিরতা কত দিনে কেটে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন হবে, সেটি নিয়ে স্টেকহোল্ডাররা কেউ কিছু বলতে পারছেন না। তবে সরকারকে এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ ঠিকাদার ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক টিবিএসকে বলেন, 'বৈশ্বিক সমস্যার কারণে এখন দেশে যে ধরনের সমস্যা চলমান, সেটি থেকে বের হওয়া একটু সময়ের ব্যপার। তবে সরকারের সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে, নতুন কোনো প্রকল্প শুরু না করে পুরনো প্রকল্পগুলোর দিকে নজর দেয়া। আর ঠিকাদারা যাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।'
তিনি আরও বলেন, কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যখন একটি প্রকল্পের কাজ নেয়, তখন তারা সরকারকে উৎসে কর, ভ্যাট ও অন্যান্য কর দেয়। এ কারণে যেভাবেই হোক চলমান প্রকল্পগুলোর অর্থ সংস্থান করে সেগুলো চালু রাখা এবং পুরনো শিডিউল অভ রেট সংশোধন করা বেশ জরুরি।
প্রকল্পগুলো আটকে আছে কেন?
বাংলাদেশ নির্মাণ শিল্প সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী শফিকুল হক তালুকদার জানান, চলমান প্রকল্পগুলোর সবগুলোই ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া। প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটি।
তিনি আরও জানান, কোভিডের প্রাদুর্ভাবের পর সারা বিশ্বেই চলাচলে বিধিনিষেধ ও অর্থনৈতিক মন্থরগতি দেখা দিলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বাধা আসে। এরপর ২০২২ সালের শুরুতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রড, সিমেন্টসহ অত্যাবশ্যকীয় নির্মাণ সামগ্রীর বাজারদর ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
'কিন্তু এসব অত্যাবশ্যকীয় নির্মাণ সামগ্রীর বাজারদর বৃদ্ধি পেলেও প্রকল্পের ব্যয় না বাড়ানোয় ঠিকাদারেরা বেকায়দায় পড়ে। ফলে অনেকাংশে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদাররা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে, দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সংকট দেখা দেয়'
এরপর সরকার অলিখিতভাবে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দের অর্থ ছাড়ে সংকোচননীতি আরোপ করে উল্লেখ করে শফিকুল বলেন, 'ফলে ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে "এ" ক্যাটগরির প্রকল্পগুলোর জন্য কিছু অর্থ ছাড় করলেও বেশিরভাগ অর্থ ছাড় আটকে যায়। ফলে বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ এখন বন্ধ প্রায়।'
'এ' ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ অনুমোদন পাওয়ার পর এক বছরের মধ্যে অর্থ ছাড়ের বিধান রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তা-ও বন্ধ হয়েছে।
তহবিল ঘাটতি
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা টিবিএসকে বলেন, কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে যে অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হয়েছে সেটি সামলাতে সরকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অর্থ ছাড় বন্ধ রেখেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের এসব অর্থ প্রতি বছর জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ হয়। আর এসব অর্থ আসে সরকারের রাজস্ব, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল, বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদারের অনুদান ও বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে।
তিনি বলেন, 'উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে মেগা প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগ অর্থই বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া। ফলে মেগা প্রকল্পের জন্য অর্থ সংকট কম।'
তবে সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিলে টাকার সংকটের কারণে মাঝাারি বা ছোট প্রকল্পের জন্য অর্থ পাওয়া একটু কঠিন হয়ে পড়েছে।
কোন ক্যাটাগরিতে কয়টি প্রকল্প?
কর্মকর্তারা জানান, প্রতি অর্থবছরে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো 'এ', 'বি' ও 'সি'—এই তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
'এ' ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোতে এক বছরের মধ্যেই অর্থ ছাড় দেওয়ার প্রথা রয়েছে। 'বি' ক্যাটাগরির প্রকল্পের জন্য ওই অর্থবছরে ৫০ শতাংশ অর্থ ছাড় দেওয়ার কথা। আর 'সি' ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ হওয়া অর্থ ওই বছর ৫ থেকে ১০ শতাংশ ছাড় দেয়ার প্রথা রয়েছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, এই সংস্থার অধীনে চলমান ১১৪টি প্রল্পের মধ্যে ৫৪টিই 'এ' ক্যাটাগরির, ২২টি 'বি' ক্যাটাগরির, বাকিগুলো 'সি' ক্যাটাগরির।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চলমান ১৭৪টি প্রকল্পের মধ্যে ৯২টি 'এ' ক্যাটাগরির, ৫৪টি 'বি' ক্যাটাগরির ও ২৮টি 'সি' ক্যাটাগরির।
বাকি প্রকল্পগুলোর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রকল্প 'এ' ক্যাটাগরির বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ নির্মাণ শিল্প সমিতি।
ঠিকাদারদের বিল বকেয়া
শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এই প্রকল্পের কাজ পায় বেঙ্গল কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, ২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য চাপ ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা পেলেও এখনও ৩০০ কোটি টাকার বিল বকেয়া আছে, যা দুটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছরের মার্চ মাসে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত এই টাকা পরিশোধ করতে পারেনি পাউবো।
একইভাবে পাউবোর অধীনে চলমান ৯১টি প্রকল্পের মঢ্যে প্রায় ৫০টি প্রকল্পে গত চার বছর ধরে কাজ করলেও, কাজ সম্পন্ন হওয়া প্রায় ৭০ শতাংশ প্রকল্পের বকেয়া বিল এখন পর্যন্ত পায়নি বলে অভিযোগ করেছে ঠিকাদারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবোর মহাপরিচালক মো. মাহবুর রহমান টিবিএসকে বলেন, 'একটি প্রকল্পের জন্য অর্থ ছাড় করতে কিছু প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো অনুসরণ করেই অর্থ ছাড় হয়। আর ঠিকাদারারা সময় সময় কাজ করে বিল নেয়।
'এছাড়া বর্তমান সমস্যার কথা সবাই জানে। অনেকের বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কিছু বাকি আছে, সেগুলো দ্রুতই পরিশোধ করা হবে।'
নতুন শিডিউল অভ রেট নিয়ে নেই অগ্রগতি
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কৃষ্ণ সাগরসহ বিভিন্ন রুটে পরিবহন সমস্যা এবং পণ্য পরিবহনে জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন নির্মাণ পণ্যের দাম বেড়েছে।
দফায় দফায় রডের দাম বেড়ে এখন প্রতি টন প্রায় ৯২ হাজার টাকায় ঠেকেছে, যা ২০২০ সালে ছিল ৭২ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে ৫০ কেজির প্রতি ব্যাগ সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে, ২০২০ সালে যা ছিল ৪০০ টাকার আশপাশে।
এদিকে বর্তমানে প্রতি ড্রাম বিটুমিন বিক্রি হচ্ছে ৯ হাজার ৭০০ থেকে ৯ হাজার ৮০০ টাকায়। ২০২০ সালের শেষ দিকে বিটুমিনের দাম ছিল প্রতি ড্রাম সাড়ে ৬ হাজার টাকা।
কিন্তু ঠিকাদারদের জন্য নির্ধারিত শিডিডিউল অভ রেট সর্বশেষ হালনাগাদ হয় ২০১৯ সালে, যেখানে সমোস্ট নির্মান সামগ্রীর দর ২০১৯ সালের বাজারদর অনুযায়ী নির্ধারণ করা আছে।
আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাঈনুদ্দিন মোনেম টিবিএসকে বলেন, উপকরণের দাম বাড়ায় নির্মানকাজ ব্যাহত হচ্ছে। কারণ যে শিডিউল অভ রেট অনুযায়ী চুক্তি ছিল, এখন উপকরণের দাম তার চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, ঠিকাদাররা নিজের পকেট থেকে অর্থ ব্যয় করবে না। সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বরাদ্দ সমন্বয় করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঠিাকাদাররা এখন পুরনো শিডিউল অভ রেট অনুযায়ী নতুন কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে আগ্রহী না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিভাগের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, সরকার সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য একটি সমন্বিত শিডিউল অভ রেট প্রস্তুত করছে। এটি প্রণয়ন হলে একই ধরনের কাজে ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার ভিন্ন দাম ধরার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, 'নতুন শিডিউল অভ রেটে দ্রব্যমূল্য ও উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। এ শিডিউল তৈরির পরই বলা যাবে প্রকল্পের ব্যয় কতটা বাড়বে। তবে এ নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে, কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। আরেকটু সময় লাগবে।'
গণপূর্ত অধিদপ্তরের সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন বলেন, 'সারা বিশ্বে এখন সংকট চলছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও আছে।'
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সমস্যা হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ঠিকাদারদের সাথে সমন্বয় করে প্রকল্পগুলো চলমান রাখার চেষ্টা করছেন তারা।
এলসি সমস্যা
বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানোয়ার হোসেন টিবিএসকে বলেন, ডলার সংকটে এলসি খুলতে সমস্যা হওয়ায় সিন্টে ও রডের কাঁচামাল আমদানি করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে এসব নির্মাণ সামগ্রীর বাজারদর কমানো সম্ভব নয়।
রশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হলে সমস্যা আরও ঘনীভূত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এই মনসুর বলেন, যেসব দেশ থেকে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী, বিশেষ করে রড ও সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানি করা হয়, সেসব দেশের সাথে সরকার করেন্সি সোয়াপ (মুদ্রা বিনিময়) চালু করার উদ্যোগ নিতে পারে।