৮ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ চট্টগ্রামে
চট্টগ্রামে ৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস ও তেল সংকটের কারণে বন্ধ আছে ৬টি। দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে কাপ্তাই এবং টেকনাফ সোলার প্লান্ট দুটি। এছাড়া দেশের একমাত্র কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে পানির স্বল্পতায় বন্ধ রয়েছে ৪টি ইউনিট। সচল ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৮১২ মেগাওয়াট। এই কারণে শীতের এই মৌসুমেও বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ভোগান্তিতে আছে নগরবাসী।
পিডিবি চট্টগ্রামে অঞ্চলের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, রাউজানের ২১০ মেগাওয়াট করে ৪২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট পুরোপুরি সচল রাখতে প্রয়োজন ৪৫ মিলিয়ন করে ৯০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখতে প্রয়োজন ৩৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ও শিকলবাহার ৬০ মেগাওয়াটের অপর বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রয়োজন ১৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গ্যাস সংকটের কারণে এখন চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রই বন্ধ রয়েছে।
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৪ মেগাওয়াটের রিজেন্ট পাওয়ার প্লান্ট, ১০০ মেগাওয়াটের এনার্জি প্যাকও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেশের একমাত্র কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে পানির স্বল্পতায় ৪টি ইউনিটই বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি ইউনিট (২ নম্বর ইউনিট) থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, 'কাপ্তাই লেকে পানি স্বল্পতায় ১, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাপ্তাই লেকের পানির পরিমাণ ছিল ৮৫ দশমিক ৬৩ মিনস সিলেভ (এমএসএল)। লেকে রুল কার্ভ অনুযায়ী বর্তমানে পানি থাকার কথা ১০১ দশমিক ২১ মিনস লি লেভেল। ২ নম্বর ইউনিটের ত্রুটির কারণে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ ছিল। বর্তমানে ইউনিটটি সংস্কার করে সচল করা হয়েছে। যেখান থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।'
তবে পিডিবি চট্টগ্রামের (দক্ষিণ অঞ্চল) প্রধান প্রকৌশলী (ডিস্ট্রিবিউশন) রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রামে এখন কোন লোডশেডিং নেই। সরকারি–বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে ৮১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। চাহিদাও রয়েছে ৮১২ মেগাওয়াট।