দেশে উদ্ভাবিত কোভিড কিটের ব্যবহার শুরু করল বিএসএমএমইউ
কম সময়ে ও স্বল্প খরচে করোনাভাইরাস শনাক্তে দেশে উদ্ভাবিত বিসিএসআইআর কোভিড-কিট এর বাণিজ্যিক ব্যবহার কার্যক্রম শুরু করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
বিএসএমএমইউ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর) এর নেতৃত্বে কিটটি উদ্ভাবিত হয়।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউ প্রাঙ্গণে কিটটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরফুদ্দিন আহমেদ জানান, এই কিট দিয়ে কোভিড টেস্টের খরচ পড়বে মাত্র ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার (বিএমআরসি) এবং ডিরেক্টর গেনারেল অফ ড্রাগ অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিজিডিএ)এই কিট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অনুমিত দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ কিট উৎপাদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই কিট দিয়ে দেশের মানুষকে অত্যন্ত স্বল্প খরচে নির্ভুলভাবে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে এই কিট সারাদেশে সরবরাহ করা হবে, এতে বিদেশ থেকে ডলার খরচ করে কিট আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।
বিসিএসআরআই-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফতাব আলি শেখ বলেন, বালাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্তে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখের বেশি স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিট সম্পূর্ণটাই আমদানি করতে হয়েছে। বিশ্বমানের আরটি-পিসিআর গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড কিটগুলো ব্যয়বহুল, প্রতিটি পরীক্ষায় খরচ হয় ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা। বিসিএসআইআর-এর উদ্ভাবিত কিটগুলো সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতির।
"এই কিটের সুনির্দিষ্টতা, সংবেদনশীলতা এবং নির্ভুলতা গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড-এর সমমান এবং আমদানীকৃত কিটগুলোর চেয়ে উন্নতমানের। কিটটির লিমিট অফ ডিটেকশন (এলওডি) ১০০ কপি ভাইরাস / মি:লি:, যা বাজারে প্রচলিত কিটের চেয়ে অনেক কম। তাই কিটটি ইনফেকশনের শুরুতেই কোভিড-১৯ শনাক্ত করতে সক্ষম। কিটটি সকল ধরনের ভ্যারিয়েন্ট (আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা, ওমিক্রন ইত্যাদি) শনাক্ত করতে সক্ষম," যোগ করেন তিনি।