বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত মোঃ সাহাবুদ্দিন
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ ঘোষণা দেন।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়। রাষ্ট্রপ্তি পদে একমাত্র মনোনীত প্রার্থী ছিলেন মোঃ সাহাবুদ্দিন।
এর আগে ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হবেন মোঃ সাহাবুদ্দিন।
চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।
দেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে পাবনায়। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী।
দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোঃ সাহাবুদ্দিন এর আগে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদক কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও।
মোঃ সাহাবুদ্দিন ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর তাকে কারারুদ্ধ করা হয়।
১৯৮২ সালে বিসিএসে জুডিশিয়াল ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেন মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেন মোঃ সাহাবুদ্দিন।
২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাদের হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট এবং অমানবিক কর্মকাণ্ডের তদন্তের জন্য গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলেও তিনি নির্বাচন কমিশনার ছিলেন।