নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু
সোমবার (১৩ ফেরুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত শাহ আলম (২০) নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা; গতকাল রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "গত সপ্তাহ থেকে ওই যুবক এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।"
"ভুক্তভোগীর দেহে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে, তার নমুনা পরীক্ষার জন্য ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)-এ পাঠানো হয়।"
"সোমবার ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, একই দিনে শাহ আলমের মৃত্যু হয়," যোগ করেন তিনি।
এ নিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত দেশে নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হল।
বাংলাদেশে সাধারণত বাদুড়ের মাধ্যমে খেজুরের রস থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। বাদুড় দ্বারা দূষিত অপরিশোধিত খেজুরের রস খাওয়ার মাধ্যমে মানবদেহে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
এই ভাইরাসের জন্য এখনো কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রধান বাহক বাদুড়। তবে মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের মাধ্যমেই যেকেউ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হতে পারে। ২০০১ সাল থেকে দেশে বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ নিপাহ ভাইরাস।
আইসিডিডিআর,বি-এর তথ্য অনুসারে, ২০০১ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাস আবির্ভূত হয়ে। এতে আক্রান্ত হওয়ার পর, অসুস্থতা থেকে সেরে উঠলেও অনেক ক্ষেত্রে মানুষ গুরুতর স্নায়বিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, শেষ দিকে নানান ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে।