কালশী ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কালশী বালুমাঠে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে কালশী ফ্লাইওভার এবং রাস্তার উদ্বোধন করেছেন।
ফ্লাইওভারটি মিরপুর, ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা এবং বিমানবন্দরের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত করবে। এতে বিমানবন্দর থেকে মিরপুর পৌঁছাতে ১৫ মিনিট লাগবে।
একনেক ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারী এই প্রকল্পটি অনুমোদন করে যার অধীনে ইসিবি স্কয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত একটি ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মাণের অনুমতি প্রদান করে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) প্রায় ১,০১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়, ২০২৩ সালের জুনে নির্ধারিত সময়ের ৪ মাস আগেই নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প বিবরণী অনুযায়ী, ফ্লাইওভারটি ইংরেজি 'ওয়াই' অক্ষরের মতো। এই প্রকল্পে যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করার লক্ষ্যে আগের চার লেন বিশিষ্ট রাস্তাগুলোকে ছয় লেন করা হয়েছে।
প্রধান চার লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী ও মিরপুরের ডিওএইচএস হয়ে গেছে। দুই-লেন বিশিষ্ট র্যাম্পটি কালশী মোড় থেকে শুরু হয়ে কালশী সড়কে যাবে।
প্রকল্পটির আওতায় একটি পিসি গ্রিডার ব্রিজ, দুইটি ফুট ওভার ব্রিজ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি ৭.৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, একটি ১৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, ৩৩৮৩ মিটার যোগাযোগ তার, পৃথক সাইকেল লেন ও ছয়টি বাস বে নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি হলে মিরপুর, ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দর সড়কের যানজট লাঘব বলে বলে আশা করা হচ্ছে।
কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।