দূতাবাস চালু ও সম্পর্ক গভীর করতে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উপাসনা মন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো ঢাকায় এসেছেন।
সোমবার সকালে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এসময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নতুন দূতাবাস উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গভীর করতে তিনি এই সফর করছেন।
৪৫ বছর পর আবার দূতাবাস খুলছে আর্জেন্টিনা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আজ বিকালে বনানীতে আর্জেন্টিনা প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস উদ্বোধনে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দেবেন।
ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস ১৯৭৮ সালে দেশটির তৎকালীন সামরিক জান্তা শাসক বন্ধ করে দেয়।
কূটনৈতিক কার্যক্রম, যেমন ভ্রমণের জন্য ভিসা, ভারতে আর্জেন্টিনা দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
আর্জেন্টিনা বলেছে যে, 'রাজনৈতিক, কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক' কারণের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি নির্দেশিকা অনুসারে দূতাবাস পুনরায় চালু করা সুবিধাজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে মোমেন নৈশভোজেরও আয়োজন করবেন।
ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস পুনরায় খোলা ছাড়াও ক্যাফিয়েরোর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, 'কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, দুই দেশের কৃষি ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশ ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক নিয়ে কাজ করছে।
আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল ও গম আমদানি ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট মেরকোসুরে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষের আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেরকোসুর, বা সাউদার্ন কমন মার্কেট হলো একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্লক যা মূলত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশের জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত দুই দলের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করার পাশাপাশি ফুটবল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে আর্জেন্টিনার সফরকারী দল।