আদালতকে হজের খরচ বৃদ্ধির যে কারণ জানাল ধর্ম মন্ত্রণালয়
আদালতের কাছে এ বছর হজ প্যাকেজের খরচ বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করল ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ডলারের দাম, বিমান ভাড়া, বাসা ভাড়া, ও মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি পাওয়ায় হজ প্যাকেজের খরচ বাড়ানো হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
হাইকোর্টের গত মঙ্গলবারের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার আদালতে এ ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে শুনানির পর বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ হজ প্যাকেজের খরচ কমানোর জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন।
অ্যটর্নি জেনারেলকে আদালত বলেন, 'হজে যেতে ইচ্ছুক সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আপনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। খরচের খরচ কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নিন।'
অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, 'হজের যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, এটা সরকারের পলিসি ডিসিশন। এই বিষয়ে আদালত আদেশ দিতে পারেন না।' তখন আদালত বলেন, 'এটার সঙ্গে জনস্বার্থ জড়িত। তাই এ বিষয়ে রিট শুনতে বাধা নেই।' পরে আদালত এই রিট আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারিভাবে সমন্বয় করে হজের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। হজে যেতে বাংলাদেশ অংশে যে ব্যয় হয়, তার পরিমাণ আড়াই লাখ টাকা। আর সৌদি অংশের ব্যয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ফলে সৌদি অংশে যে ব্যয় হয় সেখানে সরকারের কিছু করার থাকে না। এটা আন্তর্জাতিকভাবেই সমন্বয় করতে হয়। এছাড়া বাংলাদেশ অংশে যে আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, সেখানে বিমান ভাড়া বেড়েছে, ডলারের মূল্য বেড়েছে, আবার সৌদি আরবের বাসা ভাড়া ও মুয়াল্লিম ফি—এসবও বেড়েছে।
এর আগে এ বিষয়ে শুনানিতে গত মঙ্গলবার চলতি মৌসুমে নির্ধারণ করা প্রায় ৭ লাখ টাকার হজ প্যাকেজকে অমানবিক বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে প্যাকেজের বিষয়ে কথা বলে জানাতে বলেন আদালত। সে অনুযায়ী একটি প্রতিবেদন দেয় মন্ত্রণালয়।