ফারদিনের মৃত্যু: স্থায়ী জামিন পেলেন বুশরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় ডিবি পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন অব্যাহতির আবেদনের ওপর নারাজির বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। একই আদালত ফারদিনের বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানার নারাজির বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। তবে এদিন বাদীপক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগ হওয়ার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ সজীব মামলার ফটোকপি চেয়ে আবেদন করেন। নারাজি দিতে সময়ও প্রার্থনা করেন তিনি। আদালত তাদের সার্টিফায়েড কপি নিতে বলেন। সময় আবেদন মঞ্জুর ১৬ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
অপরদিকে একই আদালতে ফারদিনের বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরার আইনজীবী জামিন স্থায়ীর আবেদন করলে শুনানি শেষে আসামির জামিন স্থায়ীর আবেদন মঞ্জুর করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ সজীব এসব তথ্য জানান।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি জামিন পান বুশরা।