বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি করতে ভোমরা বন্দরে পেঁয়াজ মজুদ, টাস্কফোর্সের অভিযান
বাজারে সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে পেঁয়াজ মজুদ করায় অভিযান করেছে টাস্কফোর্স। রোববার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে এ অভিযান শুরু করে তারা।
অভিযানকালে ভোমরা বন্দরের আমদানিকারকদের গোডাউন পরিদর্শন ও তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। অনেক আমদানিকারক গোডাউনে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
আমদানিকারকদের কেউ বলছেন, তারা পেঁয়াজ মজুদ করেননি। বাজারে ছাড়বেন। তবে গোডাউন ভর্তি ভারতীয় ও দেশি জাতের পেঁয়াজ মজুদ রাখার প্রমাণ পায় জেলার টাস্কফোর্স টিম।
অভিযানে নুর এন্টারপ্রাইজকে ২৫ হাজার, এসআর ইন্টারন্যাশনালকে ১৫ হাজার ও শুভ ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ্ আল আমিন বলেন, গোডাউনে পেঁয়াজ মজুদ রেখে রমজানকে সামনে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির একটি চেষ্টা চলছে। যার ফলে খোলাবাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই খবরে বন্দরে অভিযান করা হয়। অভিযানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে সতর্কতা হিসেবে ব্যবসায়ীদের রমজানের আগেই মজুদকৃত পেঁয়াজ বাজারে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক নাজমুল হাসান, র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর গালিব, বিজিবি ভোমরা ক্যাম্প কমান্ডার শামীম হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ইমপোর্ট পারমিট না থাকায় ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি। তবে বন্ধের আগের দশ দিনে ভোমরা বন্দর দিয়ে ৯৭৪ ট্রাক পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করেছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, আমদানিকারকরা পেঁয়াজ বাজারে না ছাড়ায় খোলাবাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৬ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ২-৩ টাকা। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকায়, দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩১ টাকায়।