নির্বাচনকালে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড, সংশোধনীর খসড়া অনুমোদন মন্ত্রিসভার
নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের কার্ডধারী পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাজে বাধা দিলে সর্বনিম্ন ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে 'নির্বাচনি আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)' সংশোধনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এটি অনুমোদিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, "খসড়া আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আরও যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ক্যাবিনেটে আনা হবে।"
অনুমোদিত খসড়া আইনে প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় একজন করে রিটার্নিং অফিসার রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতি জেলায় একজন করে রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে জেলাভিত্তিক রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সচিব জানান, আরপিও সংশোধনীতে আরও প্রস্তাব করা হয়েছে—মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এখন থেকে ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) সার্টিফিকেটের পাশাপাশি ইউটিলিটি বিলও দিতে হবে।
বিদ্যমান নিয়মে ভোটের সাত দিন আগে প্রার্থীদের টিআইএন এবং ইউটিলিটি বিল জমা দিতে হয়। নতুন আইনে তা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইনের খসড়াও অনুমোদন করেছে, এই বিধান অনুযায়ী একটি পরিবারের সর্বোচ্চ তিনজন সদস্য একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে একটি পরিবারের চার সদস্য ব্যাংকের পরিচালক হতে পারেন।
এছাড়া ঋণের অনিয়ম রোধে প্রস্তাবিত সংশোধনীতে আরও কঠোর বিধান রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মাহমুদুল বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩-এর খসড়াও অনুমোদন করা হয়েছে।