প্রথম তৈরি ‘কলাবতী শাড়ি’ প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হবে
কলাগাছের তন্তু থেকে প্রথম তৈরি করা কলাবতী শাড়ি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
রোববার বিকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে কলাগাছের তন্তুজাত সুতা থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বলেন, জুম চাষের দারিদ্র্য থেকে পাহাড়ি নারীদেরকে বের করে এনে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য অগ্রণী ভুমিকা রাখবে এই কলাগাছের সুতা দিয়ে তৈরি শাড়ী এবং বিভিন্ন হস্ত শিল্প। এটা সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। 'শুধু শাড়ি নয়, এই কলাগাছের সুতা থেকে পর্দা, ব্যাগ, পাপোশ, জুতা, ব্যাগ ও কলমদানি তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে পাঞ্জাবি, ফতুয়াসহ আরও আকর্ষণীয় উন্নত মানের হস্তশিল্প দিয়ে কীভাবে ব্যবহার্য জিনিস তৈরি, করা যায় সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে সুতা পাঠানো হয়েছে। হাতের ও গলার মালাসহ আরও বিভিন্ন আধুনিক অলংকার কিভাবে তৈরি করা যায় সে চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে।'
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, এক কেজি সুতা দিয়ে ১০ দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সাড়ে তেরো হাত দৈর্ঘ্য ও আড়াই হাত প্রস্থের শাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এই সুতাকে আরও গবেষণা করে মসৃণ ও নরম হালকা করা গেলে ৫০০ গ্রাম থেকে ৭৫০ গ্রাম সুতা দিয়ে একটি শাড়ি তৈরি করতে পারলে শ্রম ও সময় কম লাগবে। তখন এই শাড়ির বাজার মুল্য ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় নেমে আসতে পারে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
সংবাদ সম্মলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক লুৎফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুরাইয়া আক্তার সুইটি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুল ইসলাম, এনডিসি শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া চৌধুরী, তাঁতশিল্পী রাঁধাবতী দেবী প্রমুখ।
