ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য পৃথিবীর অন্যতম কঠোর আইন: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) কে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের কঠোরতম আইনগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল।
গতকাল সোমবার (১০ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ ধাপ পিছিয়ে ১৬২তম। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের কঠোরতম আইনগুলোর একটি হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইন সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগ আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি।"
প্যাটেল বলেন, "মুক্ত গণমাধ্যম এবং সচেতন নাগরিক যেকোনো দেশ এবং তার গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন কন্টেন্টের ওপর যে নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রয়েছে তার প্রভাব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।"
তাছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বাংলাদেশ এবং সারাবিশ্বে অবাধ ও নিরপেক্ষ নীতিকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা কোনো দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছি না আমি।"
প্যাটেল আরো বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক চায়। আর সে কারণেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন আজ (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।"
প্রথম আলোর প্রতিবেদককে নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নেওয়ার বিষয়ে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে প্যাটেল বলেন, "আমরা বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সংবাদপত্রের লোকজন সহ মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য উপাদান এবং নির্বাচনের বছরে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।"
"সংবাদপত্রের কোনো সদস্যকে তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য হুমকি, হয়রানি, শারীরিকভাবে আক্রমণ বা গ্রেপ্তার করা উচিত নয়," যোগ করেন তিনি।