বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৩২ ঘন্টায় পাঁচ হাজারের ওপরে মোটরসাইকেল পারাপার
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। উত্তরবঙ্গগামী অনেকেই মোটরসাইকেলযোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছেন। বুধবার (১৯ এপ্রিল) ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব এলাকায় আলাদা টোল বুথে মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
সরেজমিনে সেতুতে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মোটরসাইকেল বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজার পাশেই স্থাপিত আলাদা বুথে অপেক্ষা করছে। এসময় সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজনদের অপেক্ষারত মোটরসাইকেল আরোহীদের নির্ধারিত মোটরসাইকেলের টোলের টাকা হাতে রাখার জন্য মাইকে বলা হচ্ছিল।
সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে ৩ হাজার ৬৮৯টি মোটরসাইকেল পশ্চিম পাড়ে গিয়েছে। এছাড়া, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে পরেরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২ হাজার ৫৯১টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।
এদিকে, মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি দেখা গেছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি।
ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে উত্তরবঙ্গে যাওয়া ইদ্রিস মিয়া বলেন, "ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য শেষ রাতে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছি। বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজার কাছে এসে প্রায় ২০ মিনিট যাবত দাঁড়িয়ে আছি। এছাড়া, মহাসড়কের তেমন যানজট চোখে পড়েনি।"
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ভোররাত থেকেই সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারে দীর্ঘ সারি ছিল। মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে। সোমবার রাত ১২টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পাঁচ হাজারের ওপরে মোটরসাইকেল সেতুর পূর্বপাড় থেকে পশ্চিম পাড়ের দিকে গিয়েছে।