ঈদের আগেই বিজিএমইএ আওতাধীন কারখানার মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) আওতাধীন ২১৫১টি কারখানার সবকটিই ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করেছে।
এরমধ্যে ২১৪৫টি কারখানায় (৯৯ দশমিক ৭২ শতাংশ) উৎসব বোনাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বাকি ছয়টি কারখানায় গতকালকের মধ্যে বোনাস পরিশোধের কাজ শেষ করার কথা ছিল।
এদিকে ১৭৬৮টি কারখানা (৮২ দশমিক ১৯ শতাংশ) এপ্রিল মাসের অগ্রিম বেতন দিয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শ্রমিকদের বেতন দিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার জন্য পোশাক শিল্পের সকল উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, তারা প্রায় ৪৫০টি পোশাক কারখানাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় এনেছে, যারা তাদের শ্রমিকদের বেতন দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করেছে বিজিএমইএ।
ঈদের ছুটি প্রসঙ্গে বিজিএমইএ জানায়, সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধে পোশাক মালিকরা পর্যায়ক্রমে ঈদ উপলক্ষে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া শুরু করেছেন। ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ ছুটি।
ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখা এবং তৈরি পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ধন্যবাদ জানান ফারুক হাসান।
বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া, ঈদযাত্রায় অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাকে যাতে যাত্রী পরিবহন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
পোশাক শ্রমিকরা যাতে আনন্দের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ফারুক হাসান।