জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতির ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এই জামাতে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, আইন প্রণেতা, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিদেশি কূটনীতিবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামীকাল সকাল ১১টায় নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তার কার্যালয়ের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সেই হিসাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে জাতীয় ঈদগাহে আবদুল হামিদের এটিই শেষবারের মতো নামাজ আদায়।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি হামিদ ঈদগাহে মুসুল্লিদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আকারে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি সাধারণত প্রতি বছরই রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঐতিহ্যবাহী ঈদের নামাজে অংশ নেন। কিন্তু গত দুই বছর কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মহামারির কারণে তা বাতিল করা হয়।
এই ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিন ফরিদপুরী।
বাংলাদেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণ তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
সারাদেশের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী নানা বালা-মুসিবত থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়াও করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম রাতে শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এছাড়া, দেশ ও এর স্বার্থে, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবন উৎসর্গকারী শহীদদেও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেও দোয়া করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ঈদগাহে নারীদের ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নামাজের মাঠ ও এর আশপাশে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগে হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বাগত জানান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আবদুর রাজ্জাক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপিসহ সংশ্লিষ্টরা।