ট্রলারে ১০ মরদেহ: গ্রেপ্তার ২ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চজ্ঞা আসামিদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কক্সবাজার সদর থানায় ট্রলার মালিক সামশুল আলম প্রকাশ মাঝির স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দূর্জয় বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানিয়েছেন, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বুধবার থেকে এদের রিমান্ডের নেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে ঘটনায় এজাহারভুক্ত অপর ২ আসামিসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাঁচটি টিম মাঠে কাজ করছেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ২ আসামি হলেন - মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মাতারবাড়ির এলাকার ট্রলার মালিক বাইট্টা কামাল ও ৪ নম্বর আসামি ট্রলার মাঝি করিম সিকদার। মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। এজাহারের উল্লেখ থাকা অপর ২ আসামি হলেন- মাতারবাড়ির আনোয়ার হোসেন ও বাবুল মাঝি।
রোববার সাগরে ভাসমান থাকা ট্রলারটিকে নাজিরারটেক উপকূল পর্যন্ত টেনে নিয়ে আসে গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন অপর একটি ট্রলার। টেনে আনা ট্রলারের হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ট্রলারটির মালিক মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া এলাকার মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে সামশুল আলম প্রকাশ ওরফে সামশু মাঝি, যার মরদেহ গ্রহণ করেছেন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম। ইতোমধ্যে দায়ের হওয়া মামলার বাদীও তিনি। রোকেয়া বেগমও স্বীকার করেছেন ট্রলারটির মালিক তার স্বামী।
ইতিমধ্যে ৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও, মর্গে রয়ে গেছে আরো ৪ জনের মরদেহ। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের পরিচয়। এরপর সেগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় পুলিশ।