প্রতি শনিবার বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করবে কিডনি ইনস্টিটিউট
এখন থেকে প্রতি শনিবার বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে। রোগীদের শুধু ওষুধের খরচ দিতে হবে। আপাতত প্রতি সপ্তাহে একটি করে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হলেও রোগীর সংখ্যা বাড়লে- কিডনি ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপনের হার আরো বাড়ানো হবে বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. বদরুল আলম।
এরইমধ্যে কিডনি ইনস্টিটিউটে গত শনিবার (২৯ এপ্রিল) সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বাবুল মোল্লা (৪১) নামের এক রোগীর। এখন তিনি ভালো আছেন। রোগীর স্ত্রী কিডনি দাতা মদিনা বেগমও সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
প্রফেসর ডা. মো. বদরুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, কিডনি বিকল রোগের সর্বোত্তম চিকিৎসা হচ্ছে কিডনি প্রতিস্থাপন। বেসরকারি হাসপাতাল ভেদে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট খরচ ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। 'আমাদের হাসপাতালে এখন থেকে নিয়মিত কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হবে, এতে কিডনি রোগীরা অনেকখানি রিলিফ পাবে'।
'নিয়মিত কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার জন্য আমাদের এক্সপার্ট টিম আছে, এজন্য আলাদা ফ্যাসিলিটি রেডি করেছি আমরা। এখন আমাদের আন্ডারে তিনজন রোগী ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য ভর্তি আছে তাদের আগামী সপ্তাহে এবং তার পরের সপ্তাহে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হবে'- যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, 'আমরা ফ্রিতে ইনভেস্টিগেশন, অপারেশন করবো, ওষুধ শুধু রোগীরা কিনবে। বাবা-মা, ভাই-বোন থেকে যেসব রোগীর কিডনি পাওয়া যায়– তাদের ওষুধ বেশি লাগে না। তাই তাদের খরচ কিছুটা কম হবে। স্বামী-স্ত্রী বা অন্য আত্মীয়রেদর কাছ থেকে যে কিডনি পাওয়া যায় তাদের কিছুটা দামি ওষুধ দরকার হয়। তবে রোগীভেদে ওষুধের খরচ ৩০-৬০ হাজারের মধ্যে থাকবে'।
'আমাদের এখানে বিনামূল্যে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের তথ্য রোগীরা এখনো জানে না, এটা জানলে আরো রোগী আসবে। ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য রোগীদেরই আমাদের কাছে আগে আসতে হবে- কারণ আমাদের কিছু কাজ আছে, আইনের বাধ্যবাধকতা আছে'।
বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনির রোগে ভুগছেন। চিকিৎসকদের ধারণা, প্রতিবছর দেশে অন্তত ৫,০০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের দরকার।
১৯৮২ সালে বাংলাদেশে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এপর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়েছে।