সুদান থেকে ফেরত আসাদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
সরকার সুদান থেকে দেশে ফেরা নাগরিকদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
তিনি বলেন, 'সরকার সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারীদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-ও (আইওএম) সহায়তা দেবে আপনাদের।'
আজ সোমবার (৮ মে) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুদান ফেরতদের অভ্যর্থনা জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল- এই কঠিন সময়ে আপনাদের যেসব অসুবিধা হতে পারে, তা দূর করা। চিন্তা করবেন না। আপনারা দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সুদানে সবকিছু হারিয়েছেন। এখন, খালি হাতে ফিরে এসেছেন। নিশ্চিন্ত থাকুন, আমরা আপনাদের সাহায্য ও সমর্থন করতে তৈরি আছি।'
সোমবার সকালে ১৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সমন্বিত সহায়তায় জেদ্দা থেকে ঢাকায় আসার জন্য সুদান ফেরতদের আইওএম তার অভ্যন্তরীণ জরুরি সহায়তা তহবিলের মাধ্যমে বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করে।
ঢাকায় আসার পর তাদের খাবার ও বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রত্যেককে পরিবহন ভাড়া বাবদ ৫,০০০ টাকা দিয়েছে ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড ও আইওএম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অভিাবাসীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইওএম-এর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের অটল অঙ্গীকার থাকার কথা জানান।
মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে যে 'আমাদের সরকার প্রত্যেক বাংলাদেশির মঙ্গল নিশ্চিত করতে নিবেদিত।'
অন্যদিকে, আইওম বাংলাদেশ-এর অফিসার ইনচার্জ ফাতিমা নুসরত গাজ্জালী এই মানবিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে তার সংস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, 'অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
উল্লেখ্য, এপর্যন্ত সুদান থেকে দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষারত ৬৮০ বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ১৩৬ জনকে সমন্বিত উদ্যোগে দেশে আনল বাংলাদেশ সরকার ও আইওএম।