রাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে গ্রেপ্তার বিসিএস নন-ক্যাডার কর্মকর্তা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা বরিশাল গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা অফিসার শেখ আবু হানিফকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকেলের শিফটে রূপম সরকারের পরিবর্তে শেখ আবু হানিফ প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার সময় সন্দেহভাজন মনে হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ওইদিন রাতে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর আব্দুস সালাম বাদী হয়ে আরএমপির মতিহার থানায় আইসিটি আইনে এজাহার দায়ের করেন। পরে রাতভর তদন্ত করে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তার বিরুদ্ধে এজাহারকৃত মামলা গ্রহণ করেন।
এ নিয়ে গতকালের এ ইউনিটের চারটি শিফটের পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডের অভিযোগে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে যাদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে প্রবেশপত্রের ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন প্রক্সি পরীক্ষার্থীরা যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশপত্রের সাথে না সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বরত ইনভিজিলেটরের সন্দেহ হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তারপর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অন্যরা পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও শেখ আবু হানিফ তার পরিচয় প্রকাশ করছিলেন না। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করে তার মোবাইল কার্ড ও এনআইডি নম্বর নিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পরিচয়ে জানা গেছে, তিনি ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নন-ক্যাডার হিসেবে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অথচ তিনিই রূপম সরকারের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষায় দিতে এসেছিলেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজয় বসাক জানান, 'তদন্তে জানা গেছে প্রক্সিকাণ্ড তিন ধাপে সম্পন্ন হয়। তৃতীয় ধাপে আছেন যারা সরাসরি আরেকজনের বদলে পরীক্ষায় অংশ নেন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে মধ্যস্থতাকারী। আমরা দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত তদন্তে পেয়েছি। এখনো মূলহোতাকে পাইনি। তাকে গ্রেপ্তারে আমরা তদন্ত করছি।'
তিনি বলেন, মামলায় প্রক্সিকাণ্ডে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থী, মূল পরীক্ষার্থী, মধ্যস্থতাকারী ও মূল হোতা সবাইকে মামলার আসামী করা হয়েছে।