তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানলে সড়কে নেমে বিক্ষোভের হুমকি জামায়াতের
দীর্ঘ এক দশক পর রাজধানীতে ইনডোরে (ঘরোয়াভাবে) সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
নানা নাটকীয়তার পর গত শুক্রবার রাতে কিছু মৌখিক শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এরপর শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ শুরু হয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তাহের তার বক্তব্যে বলেন, 'সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের দাবি মেনে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।'
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান নির্বাচন এবং সেটা হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেটা করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।
তাহের বলেন, 'কিন্তু এরা দিনের ভোট রাতে করে। লজ্জা তো ঈমানের অঙ্গ। কিছুটা তো লজ্জা থাকা উচিত নেতাদের। সুতরাং বলব, ২০১৪ ও ২০১৮ গেছে যাক—২০২৪ আর সেভাবে যাবে না।'
তাহের আশা প্রকাশ করে বলেন, 'এবারের নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সে দাবি আদায়ে যা করা দরকার, আমরা সেই আন্দোলন করব ইনশাআল্লাহ।'
সমাবেশের আহ্বায়ক ছিলেন দলের ঢাকা (দক্ষিণ) আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং সঞ্চালনা করেন মহাসচিব ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
দলটিরর সিনিয়র নেতারাও বিক্ষোভে যোগ দেন। আইইবির ভেতরে জায়গা না থাকায় সমাবেশটি বাইরের খোলা জায়গায় হয়।
অবিলম্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায় জামায়াতের নেতাকর্মীদের।
শনিবার (১০ জুন) সকাল থেকেই আইইবিতে জড়ো হতে থাকেম জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
গতকাল (৯ জুন) বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করে জামায়াতে ইসলামী।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দলটিকে আইইবি মিলনায়তনে সমাবেশের অনুমতি দেয়।
এর আগে ২৯ মে জামায়াতের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সমাবেশের অনুমতি নিতে ডিএমপি প্রধান কার্যালয়ে গেলে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়।
তবে তাদের ছেড়ে দেওয়ার পর ডিএমপি স্পষ্ট করে যে প্রতিনিধিদলকে আটক করা হয়নি বরং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছিল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শেষবারের মতো পুলিশ তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছিল।
২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য রাজনৈতিক দল হিসাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে।