ক্ষমা চেয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই: সিইসিকে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের একটি মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের নানা কর্মসূচি পালনের মধ্যে 'দুঃখ প্রকাশ' করেন সিইসি। তবে এ প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দোষ স্বীকার করে কেবল ক্ষমা প্রার্থনা করেই পার পাওয়ার সুযোগ নেই সিইসির।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, 'এ ধরনের দায়সারা গোছের ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি ঘটনাকে শেষ করতে চেয়েছেন। তিনি একজন প্রার্থীর মৃত্যু কামনা কীভাবে করলেন? তিনি শুধু মৃত্যু কামনা নয়, বরং ফয়জুল করীমকে হত্যার চেষ্টা করেছেন, যা তার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। এই মিথ্যাবাদী সিইসিসহ পুরো নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে।'
সোমবার এক বিবৃতিতে ইউনুছ আহমাদ বলেন, 'মিথ্যাবাদী সিইসিসহ নির্বাচন কমিশন যত তাড়াতাড়ি বাতিল হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল হবে এবং দেশের মানুষ ভোটাধিকার ফিরে পাবে।'
১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন হামলা করা হয় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর ওপর। সেদিন ভোট শেষে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকরা সিইসিকে প্রশ্ন করেছিলেন, একজন মেয়র প্রার্থীকে রক্তাক্ত করা হলেও এই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বলা যায় কি না।
প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছিলেন, 'এটা আপেক্ষিক। রক্তাক্ত সবকিছু আপেক্ষিক, উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা দেখেছি—না, উনি কি কতটা...উনার রক্তক্ষরণটা দেখিনি।'
কাজী হাবিবুল আউয়ালের এই বক্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা হয়। 'উনি কি ইন্তেকাল করেছেন'—এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমাপ্রার্থনা, পদত্যাগ ও ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সিইসি বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।
ইসলামী আন্দোলনের নোটিশ পাঠানোর পর সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিইসির দুঃখ প্রকাশের কথা জানায় ইসি। সেইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে সিইসি মন্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন।