বাংলাদেশি নারীকে আটকে রেখে দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করে দুই কানাডিয়ান: পুলিশ
কানাডার সাসকাচুয়ান প্রদেশের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক বাংলাদেশি নারীকে বন্দি করে রাখার ও তাকে দিয়ে দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করানোর অপরাধে অভিযুক্ত করেছে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরসিএমবি জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে একজন এলরোজের বাসিন্দা। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত আরেকজন টিসডেলের বাসিন্দা। ৪১ বছর বয়সী এ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানব পাচার ও যৌন হয়রানির অপরাধে তিন ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, 'ভিজিটর ভিসা' নিয়ে কানাডায় এসে কাজ খুঁজছিলেন ওই বাংলাদেশি নারী। এক পর্যায়ে একটি "জনপ্রিয় চাকরির ব্যাংকে" রেস্তোরাঁয় কাজের বিজ্ঞাপনে সাড়া দেন তিনি।
কানাডার অন্য প্রদেশ থেকে সাসকাচুয়ানে স্থানান্তরিত হন তিনি। একটি ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয় তাকে, জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ওই নারীকে কয়েক মাস ধরে দক্ষিণ-পশ্চিম সাসকাচুয়ানের গাল লেক ও এলরোজ এবং সাসকাটুনের প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে টিসডেলের কয়েকটি রেস্তোঁরায় দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
কানাডিয়ান পুলিশ আরও বলেছে, কাজ ছাড়া দিনের বাকি সময়টায় তাকে একটি অসমাপ্ত কংক্রিটের বেসমেন্টে থাকতে বাধ্য করা হয়। স্যাঁতস্যাঁতে ওই বেসমেন্টে আলো ছিল খুবই কম।
সাসকাচুয়ান আরসিএমপি-এর এনফোর্সমেন্ট রেসপন্স টিমের দায়িত্বে থাকা অফিসার সুপারিনটেনডেন্ট গ্লেন চার্চ বলেন, এই দুই কানাডিয়ানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বোঝা যায়, মানব পাচার আদতে ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিতে পারে।
আরসিএমপি জানায়, ওই নারী যদি তাদের কথা মেনে না চলে তাহলে পুলিশে যোগাযোগ করার হুমকি দিয়েছিল আটককৃতরা। তারা সে নারীকে ভয় দেখায় যে তার ওয়ার্ক পারমিট প্রত্যাহার করা হবে।
গত ২৯ জুন টিসডেলে এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (৫ জুলাই) এলরোজে তৃতীয় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাকে অভিযুক্ত না করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।