বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন গৌতম আদানি; প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
শনিবার বাংলাদেশে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।
এক টুইট বার্তায় আদানি লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন বুঝিয়ে দিতে পেরে আমি সম্মানিত। ভারত ও বাংলাদেশের সাহসী সেই দলকে আমি স্যালুট জানাই, যারা করোনা মহামারির মধ্যেও কাজ শুরু করে রেকর্ড মাত্র সাড়ে তিন বছরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে নিয়ে এসেছে।'
চলতি বছরের ৭ এপ্রিল থেকে আদানি গোড্ডা ১,৬০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ থেকে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির আওতায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পেতে শুরু করে বাংলাদেশ।
গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন-ক্ষমতা প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট। তবে সূত্র অনুসারে, কেন্দ্রটি বর্তমানে প্রায় ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
গত ৭ জুন ঘূর্ণিঝড় মোখায় সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়।
এর আগে গত ৯ মার্চ আদানির গোড্ডা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অভ বাংলাদেশের সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
বিপিডিবি কর্মকর্তারা জানতে পারেন, পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও গড্ডা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে একই মানের কয়লা ব্যবহার সত্ত্বেও আদানি বিদ্যুতের দাম বেশি ধরার জন্য অনুরোধ করেছে। এরপরই আদানি গ্রুপ সমালোচনার মুখে পড়ে।
এ বছরের ২ এপ্রিল জারি করা এক বিবৃতিতে আদানি বাংলাদেশের কর্মকর্তারা অবশ্য দাবিগুলোকে অস্বীকার করে বলেন যে তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্ল্যান্টের বিদ্যুতের দাম পায়রা, রামপাল ও মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বাংলাদেশের অন্যান্য কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চেয়ে বেশি হবে না।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ও যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অভ এনার্জি অ্যান্ড ইকোনমিক ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ)-সহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক জ্বালানি থিঙ্কট্যাঙ্কগুলো অবশ্য মনে করে, আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য ব্যয়বহুল উৎস হবে।