বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রথমবার কিডনি প্রতিস্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে; বলা হচ্ছে, কিডনিদাতা ও গ্রহীতা নিকটআত্মীয় নয়। বরং কিডনিদাতাকে গ্রিসে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিডনি নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসএমএমইউ। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে।
আপন ভাই পরিচয় দিয়ে মূলত কিডনিদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে হয়েছে মোটা অংকের লেনদেন। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনের খবর টেলিভিশনে প্রচার হলে সেটি নজরে আসে কিডনিদাতার পরিবারের। পরে তারা হাসপাতালে যান এবং প্রকৃত ঘটনা জানাজানি হয়।
মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী কিডনি রোগীর জীবন রক্ষায় ২২ ধরনের আত্মীয় নিজের একটি কিডনি দিতে পারেন। নিকটাত্মীয় হচ্ছেন- মা, বাবা, ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী ও আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা, নানা, নানি, দাদা, দাদি, নাতি, নাতনি এবং আপন চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো, খালাতো ভাই বা বোন। এই তালিকার বাইরে অন্য কারও শরীর থেকে কিডনি নিয়ে অন্যের শরীরে প্রতিস্থাপন করার আইনি সুযোগ নেই।
সোমবার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রথমবারের মত কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, পিরোজপুরের সুসেন রায় তার ভাই সুজন রায়কে একটি কিডনি দিয়েছেন। সফলভাবে সম্পন্ন হয় প্রতিস্থাপন। তবে কিডনি দাতার পরিবার টেলিভিশনে খবর দেখার পর হাসপাতালে এসে জানান কিডনিদাতার পরিচয় গোপন করে সুসেন রায় নাম দেওয়া হয়েছে। কিডনিদাতার প্রকৃত নাম সুমিত হাওলাদার। দাতা ও গ্রহীতা সম্পর্কে ভাই নন। কিডনিদাতাকে গ্রিস পাঠানো হবে- এ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিনিময়ে কিডনি নেওয়া হয়েছে।
কিডনি প্রতিস্থাপন টিমের প্রধান সার্জন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, "আমাদের বোর্ড রোগী ও দাতার সব কাগজ দেখে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছে। আমরা ক্রসচেক করে দেখেছি সব ঠিক আছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি এখন।"