সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ৫ ঘণ্টা
শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকার প্রবেশপথে বিরোধী দল বিএনপির পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শেষ হয়েছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে।
পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সকাল ১১টার দিকে দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন। পুলিশ সমাবেশে বাধা দিলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গাবতলী ও ধোলাইখালে সংঘর্ষ হয়।
গাবতলী থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের হামলার সময় আহত দলের জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিএনপির আরও ৭-৮ জনকে যাত্রাবাড়ী থেকে আটক করা হয়েছে। তবে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর গয়েশ্বরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় পুলিশের একটি ভ্যানে এবং মাতুয়াইলে তিনটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক (মিডিয়া) ফারুক হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, মাতুয়াইলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসানসহ অন্তত সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বিকেলে শ্যামলীতে পুলিশ ভ্যান ছাড়াও আরও কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া সাভারের আশুলিয়াতেও দুটি বাস ভাঙচুর ও তারমধ্যে একটিতে অগ্নিসংযোগ করা করা হয়।
গাবতলী এসএ খালেক বাসস্টেশন থেকে বিএনপির আরও কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করছে বিএনপি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ যে কোনো মূল্যে বিরোধী আন্দোলনকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে।
পুলিশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অবস্থান
ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সংঘর্ষের আশঙ্কার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং জনদুর্ভোগের গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিবেচনায় তারা রাজধানীর প্রবেশপথে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেবে না।
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
উত্তরা বিএনএস সেন্টার, গাবতলীর এসএ খালেক বাসস্টেশন, নয়াবাজার ও যাত্রাবাড়ী ঘুরে দেখা যায়, কয়েক শ' পুলিশ ও আনসার সদস্য সেখানে অবস্থান নিয়েছে। এলাকায় কাউকে জড়ো হতে দিচ্ছে না তারা।
বিএনপির কয়েকজন নেতা গাবতলীতে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
ডিএমপির এই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন দল সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেও তারা রাজপথে সতর্ক থাকে।
শনিবার ডিএমপি সব রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি না দিলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা শহরের প্রবেশপথে জড়ো হন।