১০০তম বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবার পেছালো। এ নিয়ে ১০০তম বারের মতো পেছালো এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
আজ সোমবার (৭ আগস্ট) প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল। তা পিছিয়ে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম এ দিন ধার্য করেন।
র্যাব বলছে, প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্তে দেরি হওয়ায় সাংবাদিক দম্পতি হত্যার প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিলে মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, "সন্দেহভাজন ২৫ জনের ডিএনএ ও বিভিন্ন আলামত পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হলে সেই প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। এর বাইরে দুইজনের ডিএনএ পাওয়া গেছে, যাদেরকে আমরা সনাক্ত করতে পারিনি।"
তিনি আরো বলেন, "আমাদের পক্ষ থেকে মামলাটি অধিক তদন্ত ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।"
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে র্যাব তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
র্যাবে কর্মরত অভিজ্ঞ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম মামলাটি তদন্ত করছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা প্রতিবেদনের তদন্ত চলছে।
কোনো নির্দোষ ও নিরোপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানীর শিকার না হন সে বিষয় মাথায় নিয়ে র্যাব মামলাটি তদন্ত করছে জানিয়ে মঈন বলেন, "কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যাতে সাজা না পায় এবং প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী র্যাব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাদী পক্ষ বিজ্ঞ আদালতে অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজনে অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের ব্যবস্থা করতে পারেন।"
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। তাদের দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্তভার র্যাবের ওপর ন্যস্ত করা হয়।
মামলায় রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি করা হয়েছে ৮ জনকে।