আরিশার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতাল
বিরল গছার রোগে আক্রান্ত ছোট্ট আরিশার চিকিৎসা নিয়ে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা কিছুটা কমেছে। আরিশার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে আরিশা।
আরিশাকে নিয়ে গত রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে 'বিরল রোগে অসহ্য কষ্ট আরিশার, বাবা-মা নিরুপায়, দেখছেন আর কাঁদছেন' শিরোনামে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ দেখে পরদিন আরিশার বাবার সাথে যোগাযোগ করে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার শিশু হাসপাতাল থেকে আরিশাকে নিয়ে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে যায় তার পরিবার।
আরিশার বাবা মো. আশরাফ টিবিএসকে বলেন, "এখানে আরিশার নিউমোনিয়া চিকিৎসা হচ্ছে, খিঁচুনি (নিউরো) সমস্যার উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এভারকেয়ারের ইনভেস্টিগেশনে যদি এনআইসিইউ প্রয়োজন হয় তাহলে এভারকেয়ারে রাখবে আর যদি প্রয়োজন না হয় তাহল আশুলিয়ায় তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে।"
''আপনাদের প্রচেষ্টায় আমার মেয়ের এমন সুন্দর পরিবেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে, সবার প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ,'' বলেন আরিশার বাবা।
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. দবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, "মানবিক বিবেচনায় আমরা আরিশার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।"
তিনি আরো বলেন, "এটি যেহেতু বিরল ও জটিল রোগ, আমরা যদি ম্যানেজ করতে না পারি, উন্নত কোন ফ্যাসিলিটিতে পাঠানোর প্রয়োজন হলে আমরা সে ব্যবস্থা করবো। শনিবার এভারকেয়ার হাসপাতালে আরিশাকে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এভারকেয়ারে ফ্যাসিলিটিস অনেকে বেশি। ওখানে দেখানোর পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।"
উল্লেখ্য, আড়াই বছর আগে প্রথম আরিশার অসুখ ধরা পড়ে। জেনেটিক টেস্ট করে জানা যায়, আরিশার বিরল গছার বা গউশার রোগ হয়েছে আর এ রোগের প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি, নিরাময় অসম্ভব। আরিশার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত দিন যাবে তত কমতে থাকবে। ওর হার্ট, লিভার, কিডনি ক্রমেই বিকল হতে থাকবে। ইতিমধ্যে শিশুটি হাঁটার ক্ষমতা হারিয়েছে, দাঁড়াতে পারে কোনোমতে। প্রতিমাসেই একবার করে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসতে হয়।
আরিশার অসুখ ধরা পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে তার পরিবারের।