বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: হবিগঞ্জে পুলিশের দুই মামলায় আসামী ১৪শ’
হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ৯০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অন্তত আরও ১৩শ' জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত দুই মামলার প্রতিটিতে ৬ থেকে ৭শ' জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই খোরশেদ আলম পুলিশের ওপর হামলা ও এসআই ওয়াহেদ গাজী বিস্ফোরক আইনের মামলায় বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পদযাত্রা থেকে পুলিশের উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। এতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ আহত হন। আহত ওসিকে রোববার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা হবিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, 'এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।'
এদিকে সংঘর্ষে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়াল আশংকাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন।
পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম ফরিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার তাকে দেখতে হবিগঞ্জ থেকে বিএনপির একটি টিম যায়। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। এছাড়াও পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে আহত আরো শতাধিক নেতা-কর্মী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে প্রতিবাদ ও শান্তি সমাবেশ পালন করে আওয়ামী লীগ। এই সমাবেশ থেকেই বিএনপি ও আ'লীগের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত।