গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভূ-রাজনীতি বিষয়ে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কৌশলগত সংলাপ
বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ইন্দো-প্যাসিফিক অবস্থা, কৌশলগত ভারসাম্য এবং ভূ-রাজনীতি বিষয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যের সাথে ৫ম কৌশলগত সংলাপ শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এছাড়া, ঢাকা ও লন্ডন পারস্পরিক আইনি সহায়তা এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণের বিষয়েও আলোচনা করতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং বাজারের সুযোগ; উন্নয়ন সম্পর্কে পুনরায় ফোকাস; অত্যন্ত দক্ষ, দক্ষ এবং আধা-দক্ষ পেশাদার, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ এবং গবেষকদের অভিবাসন ও গতিশীলতা; এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন ভিসা স্কিম এ আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সংলাপের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অস্থায়ী এজেন্ডা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ইনপুট চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) মুহাম্মদ সফিউল আলম মন্ত্রণালয়গুলোকে জানিয়েছেন, প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে ২৭ আগস্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
অস্থায়ী এজেন্ডায় নভেম্বরে যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রীয় সফর এবং ২০২৪ সালে ব্রিটিশ রাজা চার্লস III (চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ) এর বাংলাদেশে সম্ভাব্য সফর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এগুলো ছাড়াও দক্ষ অভিবাসনের জন্য ডিগ্রি বা সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি, অনিয়মিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবর্তন, আন্তঃসীমান্ত উচ্চশিক্ষা এবং আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও উদ্ভাবনের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উভয় পক্ষই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং প্রতিরক্ষা সংলাপ, সামুদ্রিক সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলা, সাইবার নিরাপত্তা এবং এভিয়েশন নিরাপত্তাসহ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ইস্যুগুলোর মধ্যে দুই পক্ষ রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীকরণ, রোহিঙ্গা সংকট, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কমনওয়েলথ নিয়ে আলোচনা করবেন।
এর আগে, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের চতুর্থ কৌশলগত সংলাপ ২০২১ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে যুক্তরাজ্য মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করে।