৭ম বছরে রোহিঙ্গা সংকট: সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন
রোহিঙ্গা সংকটের ৭ম বছরে পদার্পণ ঘিরে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পের ১৩টি স্থানে সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন স্থানে সাধারণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে এমন আয়োজন দেখা যায়।
সমাবেশে ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শনের পাশাপাশি বক্তারা বলেন, "জন্মগত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক আমরা; গণহত্যা, জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছি। এটা রিফিউজি জীবন। এমন জীবন চাই না, স্বদেশ মিয়ানমারে দ্রুত ফিরতে চাই।"
এর জন্য আন্তর্জাতিক সকল মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন রোহিঙ্গারা।
উখিয়া লম্বাশিয়া ১ নম্বর ক্যাম্পের সমাবেশে শিশু-কিশোরসহ হাজারো রোহিঙ্গাকে অংশ নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। যেখানে গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দ্রুত শেষ করার দাবিও জানানো হয়।
লম্বাশিয়া ক্যাম্পে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আরাকান রোহিঙ্গা পিস ফর হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ জোবায়ের।
বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটির মুখপাত্র কামাল হোসেন, রোহিঙ্গা এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটির বোর্ড সদস্য ছৈয়দ উল্লাহ, নারী সদস্য জমালিকা বেগম, মোহাম্মদ মুসা, মাস্টার শোয়াইব।
এফডিএমএন রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিউনিটির মুখপাত্র কামাল হোসেন বলেন, 'অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা আর রিফিউজি জীবন চাই না। নিজ দেশে গিয়ে বাকি জীবন কাটাতে চাই। কারণ আমরা বাংলাদেশের নাগরিক নই, আমরা মিয়ানমারের নাগরিক। আমাদের নাগরিকত্ব আর নিজ গ্রামের ভিটে-মাটি ফেরত দিলেই আমরা দ্রুত দেশে ফিরে যাব।'
তিনি বলেন, 'প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার কালক্ষেপণ করছে। দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু না করলে আমরা দল বেঁধে বাংলাদেশে এসেছিলাম, ওইভাবে দল বেঁধে স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে যাব।'
সমাবেশে পাঁচ দফা উপস্থাপন করেন আরাকান রোহিঙ্গা পিস ফর হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ জোবায়ের।
এ পাঁচ দফা হলো- রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসন, জাতিগত পরিচয়ের স্বীকৃতি, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন, রাখাইন স্টেটে নিজেদের ভিটে বাড়ি এবং নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া।
তিনি ২৫ আগস্টকে গণহত্যা ও কালো দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করার দাবি জানান।