সাইবার নিরাপত্তা আইন ও অধিকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস মানবাধিকার সংগঠন 'অধিকার' এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আজকের রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং মনে করছে 'এটি মানবাধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালনের সক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।' একইসঙ্গে, সাইবার নিরাপত্তা আইনেও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
অধিকার- এর নেতাদের কারাদণ্ডের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) একটি বিবৃতি দেয় মার্কিন দূতাবাস।
এছাড়া গতকাল জাতীয় সংসদে পাস হওয়া 'সাইবার নিরাপত্তা বিল' নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পৃথক এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
দূতাবাস বলেছে, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো এই আইনেও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, জামিন অযোগ্য ধারা বহাল রাখা হয়েছে এবং সমালোচকদের গ্রেপ্তার, আটক ও কণ্ঠরোধ করতে খুব সহজেই এর অপব্যবহার হতে পারে।'
'নতুন আইনটির আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার অংশীজনদের এটি পর্যালোচনা এবং তাদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করার পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়নি। দুর্ভাগ্যবশত, সাইবার নিরাপত্তা আইন অনেক দিক দিয়েই এর আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো'- বিবৃতিতে বলা হয়।
অধিকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, 'যুক্তরাষ্ট্র মানুষের অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষায় মানবাধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজ সংগঠনগুলোর কার্যক্রমকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের '২০২২ কান্ট্রি রিপোর্ট অন হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ' প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়, এতে 'অনলাইন এবং অফলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা' এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো 'বিশেষ সরকারি বিধিনিষেধের সাথে পরিচালিত' হওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
দূতাবাস আরো বলেছে, 'অধিকার' কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ হিসেবে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করি এবং মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি ।