প্রধানমন্ত্রীর ট্রেন সফরের বর্ণনা দিলেন মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান
মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন রেল স্টেশন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন সফরের সঙ্গী হন ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ।
এ সফরকে জীবনের সবচাইতে বড় পাওয়া বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের সাথে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় কাটান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের সকলের খোঁজখবর নেন। প্রধানমন্ত্রীর সামনের কম্পাউন্ডে ছিলেন তারা। পিছনের কম্পাউন্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী তাদের কামরায় এসে কথা বলেন। কম্পাউন্ডে থাকা একটি শিশু বাচ্চাকে তিনি নিজ হাতে পানি এবং খাবার খাইয়ে দেন।
ফরিদ বলেন, আমি সৌভাগ্যবান বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে আমাদের সামনে পেয়েছিলাম, যা আমার জীবনের সবচাইতে বড় ঘটনা। দেশের প্রধানমন্ত্রী এত সহজসরল তা বলে শেষ করতে পারব না।
আরেক সফরসঙ্গী দেশসেরা পেঁয়াজ বীজ চাষি সাহিদা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়ায় কতোটা আনন্দিত তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। তিনি সরাসরি আমাদের সাথে এসে কথা বললেন এবং অনেকটা সময় আমাদের সাথে কাটালেন। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তিনি যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ জীবন দান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাওয়া স্টেশনে। এ সময় তিনি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে আসেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই ট্রেন সফরে সঙ্গী হন ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১১ জন। এদের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, গার্মেন্ট কর্মী, হকার ও বাসচালক। স্কুলের খুদে শিক্ষার্থীও ছিল।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ফরিদপুর সফরের সিদ্ধান্তের পরপরই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন পেশার একজন করে মোট ১১ জনের তালিকা তৈরি করতে।
এই ১১ জন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সঙ্গী হন। তারা পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের কথা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, সবজি বিক্রেতা হেলাল উদ্দিন, গার্মেন্ট কর্মী রেখা বেগম, হকার রহিম শেখ, বাসের চালক সুলতান আহমেদ, খ্রিস্টান মিশনের পালক সাথী চক্রবর্তী, আদর্শ পেঁয়াজ বীজ চাষি সাহিদা বেগম। এছাড়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বর্ণজিৎ ঘোষ, নুসরাত জাহান এবং মাদরাসা শিক্ষার্থী জান্নতুল ফেরদাউসও ছিল।