হরতালে সংঘর্ষ-ভাঙচুর: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
গতকাল রোববার হরতাল চলাকালে সিলেটে পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধের ঘটনায় পাঁচটি মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় বিএনপি জামায়াতের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে, এবং আরও অন্তত ৪৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
সোমবার সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার রাতে নগরের এয়ারপোর্ট থানায় একটি, জালালাবাদ থানায় একটি, দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি এবং কোতোয়ালি থানায় দুইটি মামলা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ তার থানায় দুটি মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'রোববার রাতে মামলা দুটি দায়ের হয়। দুই মামলায় অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।' হরতালের সময় আটক বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতা-কর্মীকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান ওসি।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, 'পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, সড়ক অবরোধের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করে। মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা রোববারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে উত্তপ্ত ছিল সিলেট। হরতাল চলাকালে পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের বিক্ষিপ্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পিকেটারদের নিবৃত্ত করতে গিয়ে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হরতাল চলাকালে পৃথক স্থান থেকে বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৮০ রাউন্ড শটগানের গুলি, একটি টিয়ারগ্যাস ও ১৫টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।