কক্সবাজারে সড়কে সড়কে পুলিশ-র্যাব-বিজিবি, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক
বিএনপি-জামায়াতের আহ্বানে অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) কক্সবাজারের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।
সকাল থেকে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট ও মহাসড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রতিটি সড়কে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, বিজিবিকে টহল দিতে ও অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে কক্সবাজার শহর থেকে উপজেলা সমূহে সকল প্রকার যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলছে। কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে বাসসমুহ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা গেছে।
পরিবহন শ্রমিক নেতা শফিউল্লাহ আনসারি জানিয়েছেন, অবরোধে এ পর্যন্ত কক্সবাজারের কোথাও যানবাহন আটকানো বা কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় স্বাভাবিক নিয়মে পরিবহন চলাচল করছে।
কক্সবাজার শহরে সাথে মহেশখালী দ্বীপ উপজেলায় নৌ রুটেও চলাচল করতে দেখা গেছে স্পিডবোট সহ অন্যান্য ট্রলার।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, "সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের অবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে টহল। র্যাব ও বিজিবি সদস্যরাও মাঠে রয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা বা নাশকতার চেষ্টার খবর পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"
এদিকে, সকাল ১০টার পর থেকে কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড়স্থ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জড়ো হতে দেখা গেছে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদেরকে। সেখানে শান্তি সমাবেশ ও অবরোধ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথা রয়েছে।
শহীদ সরণীস্থ কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয় সকাল থেকে তালাবদ্ধ থাকলেও অবস্থান করতে দেখা গেছে পুলিশের একটি দলকে।