দেশের প্রথম অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দিল সরকার
ডেনমার্কের ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সবুজ বিনিয়োগ (গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট) প্রস্তাব– বাংলাদেশের প্রথম ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন (ইউটিলিটি স্কেলের) বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
একইসঙ্গে, এর প্রথম ধাপের উন্নয়নে প্রস্তাবিত এলাকা আগামী তিন বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (৫ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, চলতি বছরের জুলাইয়ে ডেনমার্কের কোপেহেগেন ইনফ্রাস্টাকচার পার্টনারস (সিআইপি) ও কোপেনহেগেন অফশোর পার্টনারস (সিওপি) বাংলাদেশের সামিট গ্রুপ সহযোগে এই বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রস্তাবনাটি দাখিল করে।
প্রস্তাবিত প্রকল্পটি কক্সবাজার জেলায় সমুদ্রতীর দূরবর্তী স্থানে (অফশোর) স্থাপিত হবে।
কার্যক্রম চালু হলে, ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি অনশোর সাবস্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে, যা পরবর্তীতে সরাসরি দেশের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবে।
অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সম্পদ ও 'সুনীল অর্থনীতির' সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহারের জন্য একটি অনন্য সুযোগ।
ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) গবেষণালব্ধ অনুমান বলছে, দেশের এই সবুজ রূপান্তরের জন্য বার্ষিক ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। সামিট, সিআইপি ও সিওপি'র শত কোটি ডলারের প্রকল্প প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে; একইসঙ্গে এটি জলবায়ু সমৃদ্ধিশীল ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও টেকসই ভূমিকা রাখবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটিই হবে বাংলাদেশে, এমনকি সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়াতেও প্রথম অফশোর উইন্ড এনার্জি প্রকল্প; যা প্রযুক্তি সক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে দেশে নতুন শিল্পখাতের উন্মোচন করবে।
প্রাথমিক নিরীক্ষা অনুযায়ী, প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজারো মানুষের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া, প্রকল্পটির প্রথম ৩০ বছরের পরিচালনাকালে উচ্চতর দক্ষ পদেও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।