ইসি আগামীকাল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে
আগামীকাল তফসিল বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় তাদের বৈঠক হবে।
এ বৈঠকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে তার ভাষণ।
তিনটি রাজনৈতিক দলকে ডোনাল্ড লু'র পাঠানো চিঠির কারণে তফসিল ঘোষণায় কোন প্রভাব পড়বে না বলে উল্লেখ করে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
আজ (১৪ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল কখন, কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা বুধবার সকাল ১০টায় জানানো হবে," বলে উল্লেখ করেন ইসি সচিব।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে 'কোনো ধরনের পূর্ব শর্ত ছাড়াই সংলাপের' আহ্বান জানিয়ে সোমবার (১৩ নভেম্বর) একটি চিঠি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে আজ বলেছেন, "হয়তো দু'এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তফসিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।"
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সাথে বৈঠকের পর সিইসি জোর দিয়ে বলেছিলেন, যেকোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়েই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।
সেসময় তিনি বলেন, "নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে আমাদের। খুব শিগগিরই আমরা তফসিল ঘোষণা করব।"
গত ১০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান এক সপ্তাহের মধ্যে তফসিল প্রকাশের ইঙ্গিত দেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এদিকে, তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলনের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী ৬ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে জাতীয় নির্বাচন। এর আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই তাদের অবস্থানে অনড় থাকায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির লাগাতার অবরোধ ও একইসাথে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে পুরো দেশকে গ্রাস করেছে রাজনৈতিক অস্থিরতা।
একয়দিনের টানা সহিংসতায় ভাংচুর করা হয়, পোড়ানো হয় যানবাহন। এছাড়া সহিংসতায় একজন পুলিশ কনস্টেবল সহ দুই ব্যক্তির দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু হয়। এমনকি প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা হয়।
ইতোমধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরও অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।