জেলেদের জালে সামুদ্রিক নীল-ব্যান্ডেড সাপ
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে জেলেদের টানা জালে ধরা পড়েছে 'নীল-ব্যান্ডেড' নামের সামুদ্রিক একটি সাপ। এটি একটি বিষাক্ত সাপ, যাকে সাধারণত অ্যানুলেটেড সামুদ্রিক সাপ বা নীল-ব্যান্ডেড সামুদ্রিক সাপ বলা হয়। এদের গায়ে হলুদ ও কালোর মিশ্রণে ডোরাকাটা দাগ থাকে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার উপকূলের পেঁচার দ্বীপে এই সাপটি জেলেদের টানা জালে ধরা পড়ে। সাপটি এখন সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেরিন স্পেসিমেন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে।
কক্সবাজারস্থ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সমুদ্রবিজ্ঞানী তারিকুল ইসলাম বলেন, "ভারত মহাসাগরের ইরান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং কোরিয়া, জাপান, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ চীন সাগর, পূর্ব চীন সাগর, পারস্য উপসাগরের ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং নিউ গিনি অঞ্চলে সাপটির বিচরণ বিদ্যমান। এটি অগভীর উপকূলীয় জলে বসবাস করে। এটি প্রায়শই চিংড়ি ট্রলার বা উপকূলীয় অঞ্চলে জেলেদের টানা জালে ধরা পড়ে। এই সামুদ্রিক সাপ বিভিন্ন সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণি এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যেমন ঈল, গবি প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। প্রজাতিটি সমুদ্রের সাথে খুব অভিযোজিত।'
সমুদ্রবিজ্ঞানী তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, "এটি উপকূলীয় অগভীর এবং গভীর সমুদ্রে ভালোভাবে সাঁতার কাটতে পারে। ম্যানগ্রোভ অঞ্চলেও এদের দেখা পাওয়া যায়। স্থলভাগে এদের চলাফেরার গতি অত্যন্ত ধীর তবে অন্যান্য সামুদ্রিক সাপের তুলনায় ভালো কাজ করে। তারা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় চলাফেরা করে তবে হুমকিতে থাকলে বা আক্রান্ত হলে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সাপটি বিষধর হলেও এদের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার অত্যন্ত কম। এটি সরাসরি একসাথে ৩ থেকে ১৮টির মতো বাচ্চা জন্ম দেয়।"