নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে, ইবিএ পর্যালোচনা মিশনকে ‘নিশ্চয়তা’ দিলেন পররাষ্ট্রসচিব
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা করেছে ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইবিএ পর্যালোচনা মিশন। সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের 'নিশ্চয়তা' দিয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান।
ইবিএ'র আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭দেশে অস্ত্রবাদে সকল পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এটি দেশের রপ্তানি পণ্যের প্রধান খাত তৈরি পোশাককে বড় বাজার সুবিধা দেয়।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহীকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, 'সভায় আগামী নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কোন প্রশ্ন করেনি ইইউ প্রতিনিধিদল। আমরা নিজ থেকেই তাদের জানিয়েছি যে, নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার হবে এবং নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে। আজ রাতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।'
'তারা (ইইউ) আশা করে নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে'- জানান পররাষ্ট্র সচিব।
সভায় ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ, শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিন সচিব।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ইইউ জানিয়েছে জিএসপি প্লাস পেতে হলে শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। মানবাধিকার নিয়ে ইউপিআরে আমরা বিস্তারিত বলেছি। সে বিষয়ে সভায় তাদের জানানো হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ইইউ জিএসপি প্লাস নিয়ে একটি রূপকাঠামো প্রণয়ন করছে। সেখানে যাতে তৈরি পোশাক শিল্প অন্তর্ভূক্ত করা হয়, সেজন্য আমরা তাদের অনুরোধ করেছি।
'এলডিসিগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ ইবিএ সুবিধার সফল ব্যবহার করতে পেরেছে তৈরি পোশাকের কারণে। আমাদের মোট রপ্তানির ৮৬% তৈরি পোশাক। এই সফলতার জন্য বাংলাদেশ শাস্তি পেতে পারে না। তাই তৈরি পোশাক পণ্য যাতে জিএসপি প্লাসে অন্তর্ভূক্ত করা হয়, সে অনুরোধ করেছি'- জানান বাণিজ্য সচিব।
শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী বলেন, পার্লামেন্টে পাস হওয়া সংশোধিত শ্রম আইনে আইএলও'র সুপারিশ থেকে ৭-৮টি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। এর কারণ জানতে চেয়েছে ইইউ। আমরা তাদের বলেছি, আগামীতে যখন আবার শ্রম আইন সংশোধন করা হবে, তখন এগুলো অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
'পার্লামেন্টের অধিবেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে আসছিল। তাই দ্রুততার সঙ্গে আমরা যতোটুকু পেরেছি, শ্রম আইনের ততোটুকু সংশোধন করেছি। ইইউ পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইনের গেজেটের কপি চেয়েছে'- জানান শ্রম সচিব।