১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতাল ডেকেছে ১২ দলীয় জোট
আগামী রোব ও সোমবার (১৯ ও ২০ নভেম্বর) হরতালের ডাক দিয়েছে ১২ দলীয় জোট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ১২ দলীয় জোটের নেতারা রাজধানীতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে জোটের নেতারা হরতালের ঘোষণা দেন।
এই জোটভুক্ত দলগুলো হলো– জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, এনডিপি, এলডিপি, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, জামিয়াত উলেমা -ই- ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
জোট নেতারা বলেন, 'জনমত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ সরকার।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয়। অথচ, বিএনপি ও জামায়াত-সহ তাদের সহযোগী বিরোধী দলগুলো আগে থেকেই এই নির্বাচন কমিশন ও সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বলে আসছে। তফসিল ঘোষণারও বিরোধিতা করেছে তারা। কিন্তু, এসব বিরোধিতা আমলে নেয়নি নির্বাচন কমিশন।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি ও জামায়াত। একইদিন ছিল আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে এদিন ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের একজন কনস্টেবল-সহ অন্তত দুইজন নিহত হওয়ার কথা পরবর্তীতে জানা যায়।
ওইদিন প্রধান বিচারপতির বাসবভনকে লক্ষ্য করেও হামলার ঘটনা ঘটে এবং পুলিশের একটি হাসপাতালেও ভাঙচুর করা হয়।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার পর পরই, পুলিশি বাধায় মাঝপথে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হলে– ঘটনা সহিংস দিকে মোড় নেয়।
২৯ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর দলটির অন্যান্য শীর্ষ নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখন থেকেই দফায় দফায় হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিচ্ছে বিএনপি ও তাদের আন্দোলনের শরীক দলগুলো।