তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবার ১৯ ও ২০ তারিখ হরতালের ডাক বিএনপির
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে শুরু করে টানা ৪৮ ঘণ্টার দুদিনব্যাপী হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। রোববার ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরু হবে।
বিএনপির সূত্রগুলো জানায়, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও হরতালের ঘোষণা আসতে পারে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর একদিন পরেই হরতালের ঘোষণা দিল বিএনপি।
তফসিল প্রত্যাখ্যান করে রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে দেশকে নিশ্চিত সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল রাতে তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছিলেন, 'এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব একথা সম্পূর্ণ অসত্য। আমরা এই বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনকে বর্জন করছি। একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কার জন্য এই তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে?'
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, 'কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আজ্ঞাবহ তফসিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমগ্র জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।'
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, 'জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। ষড়যন্ত্রমূলক নীলনকশার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন মূলত বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে অতীতের মতো শাসক দলকে জিতিয়ে আনার কৌশল নিয়েছে।'
তবে ইসির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী বলেছে, এই ঘোষণা সংবিধান অনুসারে করা হয়েছে এবং সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।