মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় কারাগারে আটক থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত এ আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, মো. আসাদুজ্জামান, বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ টিবিএসকে বলেন, "দলের সাথে আলোচনা করে এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হবে।"
তিনি বলেন, "এই মামলায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই।"
"৮১ বছর বয়সী মির্জা ফখরুলের হার্টে ব্লক রয়েছে, কিছু দিন আগে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন- এসব গ্রাউন্ডে জামিন চাওয়া হয়েছিল," জানান তিনি।
এর আগে, ২০ নভেম্বর মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু সেসময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এজন্য জামিন শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ফখরুলের আইনজীবীরা এ আবেদনের বিরোধিতা করেন, এবং বিচারকের কাছে এ সপ্তাহের মধ্যে শুনানির তারিখ চান।
পরে ২২ নভেম্বর শুনানির তারিখ দার্য করেন আদালত।
পুলিশের বাধায় বিএনপির পণ্ড হয়ে যাওয়া মহাসমাবেশের পরদিন ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।
সেদিন তার জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন সেদিন আদালতকে বলেছিলেন, বিএনপির মহাসচিব অসুস্থ। রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আদেশের পর ফখরুলের আরেক আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, "বিচারক এই মামলায় জামিন নামঞ্জুর করার পিছনের কারণ হিসেবে বলেছে, এটি একটি নতুন মামলা, জামিন দেয়ার মতো বয়স এখনো হয়নি এই মামলায়।"