নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালতে নিক্সন চৌধুরীর হাজিরা
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/12/01/mp_mujibur_rahman_nixon_chowdhury.jpg)
ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ফরিদপুর আদালতে নির্বাচন তদন্ত কমিটির সভাপতি ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন চৌধুরীর কার্যালয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে হাজির হন।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, 'আমরা জনপ্রতিনিধি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কাউকে আমন্ত্রণ করিনি। এত মানুষ কোথা থেকে এসেছে আমি নিজেও জানি না। রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে পাঁচজনের বেশি ঢুকতে দিইনি। আমার মতো জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব প্রার্থীর সমর্থকেরা তাদের নেতার মনোনয়ন জমা দেওয়া দেখতে এসেছেন।'
কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার চালাব। দেশের সব জায়গায় বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হয়েছিল, কিন্তু আমিসহ কয়েকজনকে তিরস্কার করা হয়েছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'এটা ভালো যে অন্য প্রার্থীরা এখন আরও সতর্ক হবেন। আমিসহ সবাই আগামীতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলব। সরকার যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, তাই আমরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদেরও একই কাজ করার নির্দেশ দেব। গণমাধ্যম আমার ও সাকিব সম্পর্কে বেশি লেখালেখি করেছে, তাই আমরা এই নোটিশ পেয়েছি।'
নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন আড়াই শতাধিক মাইক্রোবাস ও ২০০টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে হুট খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ রয়েছে। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং জনসাধারণের অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার তাকে ফরিদপুর ৪-এর নির্বাচন তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, তিনি রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের আচরণবিধির ধারা ৮(এ) এবং ৩৮(বি), ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।